হ্যাকিং কি? এর বিশাল উত্তর। আমি ছোট করে আপনাদের সামনে উপস্তাপন করব। অতো জটিল করে অনেকে না ও বুঝতে পারে। হ্যাকিং একটা ভয়ের এবং আতঙ্কের বিষয় প্রায় মানুষের কাছে। হ্যাকিং এমন একটি ল্যাংগুইজ যা দক্ষ প্রোগ্রামার দ্ভারা তৈরি করা হয়। পরে এটি হ্যাকিং এর কাজে ব্যবহার করা হয়। যদিও এটি অনেক ভয়ের কিন্তু অনেক সময় ভাল কাজের জন্য এবং নিজেদের রক্ষার জন্য এই কাজটি শিখতে হয়। হ্যাকারদের থেকে আমাদের সার্ভার কে নিরাপদ রাখার জন্য এদের সবছেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়। এই ধরুন না কয়েক বছর আগে আমাদের দেশের ফেলানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে বাংলাদেশের হ্যাকার রা একযোগে ২০ হাজার এর বেশি ভারতীয় গুরুত্ব পুর্ন ওয়েবসাইট এর দখল নিয়ে নেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ১০০ কোটি ডলার হ্যাক করে নিয়ে যায় হাকার রা। যদি এখানে দক্ষ হ্যাকার কাজ করত বহি শত্রু থেকে নিশ্চয় বাচাতে পারত আমাদের সম্পদ। আবার দেখুন তো মার্কিন নির্বাচনের সময় রাশিয়ান হ্যাকার যা করেছে তাতে দেখা যায় পুরো নির্বাচন ফল উলটা করে দেয় এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প কে বিজয় এনে দেয়। উন্নত দেশগুলো কিন্তু এদের বেশ উচ্চ বেতনে চাকরি দেয়। এক কথায় হ্যাকিং হল অন্যের জিনিস কে নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে যাওয়া। সেটা মোবাইল কম্পিউটার, ওয়েবসাইট বা সার্ভার বা অন্য যেকোন কিছু হতে পারে।
হ্যাকার বা হ্যাকিং শব্দগুলোর সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। কখনো ভারতের সাথে কখনো মায়ানমারের সাথে কখনো বা পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সাইবার যুদ্দ পরিচালিত হয়।কিন্তু সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের হ্যাকার এর সামথ্য বা সক্ষমতা কতটুকু তা ধাপে ধাপে জানার চেষ্টা করব, আরো জানব বাংলাদেশের দুর্দান্ত .৫টি হ্যাকার গ্রুপ সম্পর্কে।যাদের দক্ষতা আর সুনাম দেশ পেরিয়ে বিদেশে ও ছড়িয়ে পড়েছে।যাদের ভয়ে আমাদের সাইবার স্পেসে আক্রমন করার আগে অন্তত দশবার ভাবে আমাদের শত্রুপক্ষ।
আরো একটি বিস্ময়কর তথ্য দিয়ে আপনাদের জানাতে চাই সারা বিশ্বের ৯১৮ হ্যাকার টিমের মধ্যে শীর্ষে অবস্তান করছে বাংলাদেশের Gray Hat Hacker. এই দলটি সারা পৃথিবীর ৫০টি টিমের মধ্যে ৩২ তম স্তানে অবস্তান করছে। দেশের কিছু মেধাবী তরুন হাল ধরেছে আমাদের সাইবার স্পেস কে রক্ষার জন্য। আমাদের বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তরজাতিক ইস্যুতে সরকার নিশ্চুপ থাকলেও এই মেধাবী তরুন রা আমাদের এই টিমগুলো প্রতিবাদ জানায় সবার প্রথমে সাইবার আক্রমনের মাধ্যমে। তারা শত্রু দেশের খুবই গুরুত্বপুর্ণ সাইট গুলোতে আক্রমন চালায় । সাইবার স্পেস সুরক্ষায় ওরা আমাদের জন্য নিবেদিত প্রান। চলুন দেখি সাম্প্রতিক তথ্য মতে আমাদের দেশের বেশ নামকরা ৫টি হ্যাকার গ্রুপ সম্পর্কে ।
৫. বাংলাদেশ সাইবার আর্মি ( Bangladesh Cyber Army): বাংলাদেশ সাইবার আর্মি সর্বপ্রথম সবার নজরে আসে ২০১০ সালে ডিসেম্বরে। এটি বাংলাদেশের সবছেয়ে বড় ইথিক্যাল হ্যাকিং গ্রুপ। এই গ্রুপ টির প্রতিষ্টাতা সালমান তানজিন। ২০১২ সালে বাংলাদেশ ভারত সাইবার যুদ্দের নেতৃত্ব দিয়েছিল বাংলাদেশ সাইবার আর্মি। অন্যান্য যুদ্দের মত এটার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের বর্ডারে ফেলানি কে হত্যা করে তারে অমানবিক ভাবে ঝুলিয়ে রাখার প্রতিশোধ নিতে। এই সময় প্রায় শতাধিক ওয়েবসাইট হ্যাক করে বাংলাদেশ সাইবার আর্মি ওখানে ফেলানির ছবি সেট করে দেয়। আর এর মাধ্যমে আলোচনায় আসে বাংলাদেশ সাইবার আর্মি।
৪. সাইবার ৭১( Cybar 71): সাইবার একাত্তর বাংলাদেশের ইথিক্যাল হ্যাকিং গ্রুপ হিসাবে পরিচিত। তানজিম আহমেদ ফাহিম এই গ্রুপটির প্রতিষ্টাতা হিসাবে পরিচিত। বাংলাদেশ সার্ভার কে সব সময় নিরাপদ রাখতে এবং সরকারের বিভিন্ন ওয়েবসাইট কে নিরাপত্তা দিতে গ্রপটি সর্বদা নিয়োজিত। অনলাইনে এক জরিপে বাংলাদেশের হ্যাকার গ্রুপটি চার নাম্বার স্তান দখল করে নিয়েছে।
৩. রোটেটিং রোটার ( Roteting Rotor): যিনি মিনার মহসিন নামে পরিচিত। তাকে আবার অনেকে সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিসাবে ও চিনে। বেশ কয়েক বছর আগে তারা খুলনার টিভি চ্যানেল হ্যাক করেছিল। বর্তমানে এই হ্যাকার গ্রুপ টি অনেক টাই লোক চক্ষুর অন্তরালে রয়েছে।
২.বি,বি হ্যাট হ্যাকারস (Bangladesh Black Hat Hackers): মুলত বাইরের দেশের সাইবার আক্রমন থেকে নিজের দেশের সার্ভার কে রক্ষা করতে এরা বেশি বেশি কাজ করে। ২০১২ সালে ভারতের সাথে আমাদের সাইবার যুদ্দে ভারতের অনেক গুরুত্বপুর্ণ ওয়েব সাইট হ্যাক করে তা নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। মোট কথায় ভারতীয় গণ মাধ্যম গুলো তখন আমাদের হ্যাকার দের কথা খুব উচ্চ স্বরে প্রচার করতে থাকে। অন্যান্য দলগুলো তারা তাদের পরিচয় গোপন রাখতে পছন্দ করে। তাই তাদের পরিচয় কি কিংবা এই গ্রুপের নেতৃত্ব বা কারা দেয় তা লোক চক্ষুর অন্তরালে র্য়ে গেছে।
১. টাইগার মেট ( TIGER M@TE): আপনি কি জানেন বিশ্বের সেরা হ্যাকার দের মধ্যে আমাদের অনেকেই নিজের নাম লিখেছেন। সবছেয়ে কঠিন কাজ গুলোর করে এরা সবার সেরা হয়েছে। টাইগার মেট কে পৃথিবীর অন্যতম সেরা হ্যাকার গ্রুপ হিসাবে ধারনা করা হয়। দিনে সর্বাধিক ৭ লক্ষাধিক ওয়েবসাইট কে হ্যাক করে নিজের ক্ষমতা কে জানান দেয় তিনি। যেটি আজ পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড রেকর্ড হিসাবে রয়েছে। অনেকের ধারনা গ্রুপ টির কর্ন ধার ইমরান কিন্তু আজ পর্যন্ত তার সম্পর্কে সঠিক কোন ধারনা কেউ দিতে পারেনি। তাই তিনি রয়ে গেছে সব লোক চক্ষুর অন্তরালে।
আরো পড়ুন : যেভাবে বুঝবেন আপনার মোবাইল টি ভাইরাস আক্রান্ত বা হ্যাকার দ্বারা হ্যাক হয়েছে।
গ্লোবাল বিলিনিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় এলন মাস্কের নাম টি শোভা পেলেও এবার… Read More
ডিজিটাল দুনিয়ার জন্য ইলন মাস্ক একটার পর একটি সুবিধা নিয়ে আসছে। যা আগে কখনো আপনি… Read More
স্মার্টফোন হোক কিংবা বাটন ফোন সিম তো লাগবেই। যদি এমন হয় যে আমাদের ফোন গুলো… Read More
your future memory is google drive Read More
ভাইরাস একটি আতঙ্কের নাম। মোবাইলে ভাইরাস অনেকের অজানা বিষয়। ইন্টারনেটের এই সময় যেকোন সময় আপনার… Read More
মুসলিমরা এক সময় পুরো পৃথিবী শাসন করত। কিন্তু বর্তমানে তা আর নেই কিন্তু তবুও আমার… Read More